কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন
| ||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||
|
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাগরিকগণ এখন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরতচিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। সেজন্যবাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল)
একটিকরে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। আপনিও এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এসব মোবাইলফোনের নম্বর স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টাব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেন। স্থানীয় জনগণএসব মোবাইল ফোনে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শনিতে পারেন।
এই সেবা চালুর ফলে গ্রাম বা প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরতধনী-গরীব সকলের জন্যই বিনামূল্যে সরকারী চিকিৎসকদের নিকট থেকে চিকিৎসাপরামর্শ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নিঝুম রাতে, জরুরী প্রয়োজনে বা পথেরদুরত্বের কারণে চিকিৎসা পরামর্শ পেতে আর দেরী করার প্রয়োজন নেই। হাতুড়েচিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে ভুল বা অপচিকিৎসার ঝুঁকি নেবারও প্রয়োজন নেই। যেচিকিৎসা বাড়িতে বসেই সম্ভব তার জন্য হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যেচিকিৎসা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকেই সম্ভব তার জন্য উপজেলা বা জেলাহাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার যে রোগটি জটিল এবং আশু চিকিৎসাপ্রয়োজন তার জন্য অযথা এখানে সেখানে ঘোরাঘুরিতে সময় নষ্ট না করে বড়হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শটিও পাওয়া সম্ভব একটি মাত্র ফোন কল করেই। ব্যস্তমানুষেরাও রোগের শুরুতেই পরামর্শ নিতে পারেন চিকিৎসকের। এর ফলে রোগ জটিলহওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।
দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোরবহির্বিভাগে বহু রোগী আসে। সীমিত জনবল এবং ঔষধপত্র দিয়ে সব সময়মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের কাজটি তাই কঠিনই বটে। মোবাইল ফোন স্বাস্থ্য সেবারব্যাপক প্রচার হলে অনেক রোগী ঘরে বসেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ফলেহাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমবে। তখন সীমিত জনবল ও সম্পদ দিয়েই আগত রোগীদেরভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। রোগীদের সন্তুষ্টিও বৃদ্ধি পাবে। মোবাইলফোনে স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকেও সম্প্রসারণ করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস