প্রকৃতির লীলা নিকেতন বেষ্টিত প্রকৃতিক সম্পদের ভরপুর রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম একটি এতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের প্রপার কাকারার মরহুম মাওলানা বদিউজ্জামান চৌধুরী ১৯০৬ সালে বিনোদনের জন্য ঘোড়দৌড় মেলা প্রতিষ্টা করেন। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামীবাদী ঘনিষ্ট সহযোগী চকরিয়া, উপজেলা কাকারা গ্রামে এক ধর্নাঢ্য পরিবারে ১৮৪৬ খিষ্টাব্দে আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ বদিউজ্জামান চৌধুরী আলকাদেরী জন্ম গ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপান্তে বদিউজ্জামান আলকাদেরী খ]ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুর আলেয়া মাদ্রাসায় টাইটেল ডিগ্রী অর্জন করেন। এলাকার লোকদের চিতাত বিনোদনের জন্য মরহুম মাওলানা আল কাদেরী ১৯০৬ সালে ইসলামী বাজার নামে একটি মেলা প্রতিষ্টা করেন। পরবর্তী এই ইসলামী বাজার ঐতিহাসিক ঘোড়দৌড় মেলা নামে স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্টা লাভ করে।প্রতিবছর উত্তএরাপত্তর এই মেলা চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের লোকদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠে। রাত্রে বহু দুর দুরান্ত থেকে ছেলে/মেয়েরা এই মেলায় এসে বছরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে।
তখনকার দিনে প্রচুর ঘোড়া ছিল এবং মেলায় ঘোড়ার পরিস্থিতি ও দৌড় প্রতিযোগিতা একটি বিষ্ময়কর ব্যাপার ছিল। হাজার হাজার লোক পাহাড়ী মগ , চাকমা , বৌদ্ধরা এই ব্যাপারে অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন। পাহাড়ের চূড়া, গাছের ডালে ও উচুঁ জায়গায় দাঁড়িয়ে এই দৌড় প্রতিযোগিতা দৌড় প্রত্যক্ষ্য করত। মোস্তাক মিয়া নিজে শুধু একটি ছোট বেত নিয়ে পুরা মেলা এলাক লক্ষাধিক সমাগমে পুরাপুরি নিয়ন্ত্রন করত। চট্রড়াম হতে বড় বড় বহু দোকান পাট কাকারা ঘোড় দৌড় মেলায় এসে দু’তিন আগে থেকে জমা করা হত ।
বড় বড় তামার ডেস্কী , কম্বল, বাসন-কোসন, কাপড়-চোপড় , বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও প্রয়োজনীয় জিনিস এই মেলায় পাওয়া যেত। কাকারা ,চিরিঙ্গা, মহেশখালীর হিন্দুরা বহু সুস্বাদু মিষ্টিন্ন তৈরী করত এই মেলা উপলক্ষে। সন্ধ্যা বেলায় মেলা থেকে ফেরার সময় প্রত্যেকের হাতে দু’একটি মিষ্টির পাতিল দেখা যেত। এই পাতিল ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশেরবিভিন্ অষ্ণলের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট পাঠিয়ে দিত। এমনকি মেলা ইপলক্ষে ছয়মাস আগে ছেলে- মেয়েরা বাঁশের পুলের মাঠির টোয়াশায় বা অন্যখানে টাকা/ পয়সা জমা করে রাখত এবং মেলা উপলক্ষে শাহ ওমর (রা:) মাজারে মিলাদ, ওরশও তবারুক বিতরণ করা হত।
কাকারা অন্যন্য এলাকার বাসিন্দারা মেলা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বাজন ও মেহেমানদের জন্য যাবতীয় খাবার যোগাড় করে রাখত। প্রবাদ আছে কাকারার মেয়ে অনত্র বিয়ে দিলে মেলার সময় নাইয়র দিতে হবে এবং এই কথাটি কাবিননামায় লিখা থাকত। প্রায় সাত দিন ধরে এই মেলা চলত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস